সরকারের উন্নয়নের ধারাবাহিকতা প্রতিটি নাগরিকের মৌলিক চাহিদা পূরণ করে সুখি সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ে তুলে বিশ্বকে উপহার দেওয়া। বিশ্বের দরবারে এক সময়ের ভিক্ষুকের দেশ হিসেবে ঘৃনিত বাংলাদেশ আজ মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়েছে। বিশ্বজুড়ে বেড়েছে গ্রহণযোগ্যতা স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশের। উন্নয়নের ছোঁয়ায় মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত হয়ে বিশ্বকে তাক লাগিয়ে দিয়েছে। আজ বিশ্ব দরবারে প্রিয় জন্মভূমি বাংলাদেশ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। সরকারের এই অর্জন প্রশংসিত হওয়ার পিছনে সততা, একনিষ্ঠতা জনকল্যাণে ছুটে চলা সরকারি , বেসরকারি মানুষগুলোর অবদান অপরিসীম। রাষ্ট্রে প্রতিটি নাগরিকের মৌলিক চাহিদা পূরণে সরকারের যুগান্তকারী পদক্ষেপের অংশ হিসেবে চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার শিবগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ আবুল হায়াত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছেন। উপজেলার প্রতিটি মানুষের জীবনে ভালবাসার পাত্র হয়ে উঠেছেন। মানুষের দুঃখ কষ্টের কথা শুনলে স্থির থাকতে পারেন না। যতদ্রুত সম্ভব ছুটে গিয়ে অসহায় মানুষের মুখে হাঁসি ফুটানোর জন্য তাৎক্ষণিক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করেণ। যোগ্যতা, বুদ্ধিমত্তার পুরস্কার হিসেবে তিনি শিবগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হিসেবে যোগদানের অল্প সময়ের মধ্যেই চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা প্রশাসক একেএম গালিভ খাঁন শ্রেষ্ঠ ইউএনও’রস ম্মাননা তুলে দেন মোঃ আবুল হায়াতের হাতে। ইতোমধ্যে তিনি অনেক অসহায় গরীব বেকার মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে আর্থিক সহযোগিতা করে কর্মমুখী করে তুলেছেন। অভাব অনটন ঘুঁচিয়েছেন ওইসব পরিবারের। নিরাস হয়ে মানুষ হতাশায় না ভুগে মনের জোর রেখে সফলতার জন্য সামনে এগিয়ে যাওয়ার লড়াই করতে শিখিয়েছেন ইউএনও আবুল হায়াত। কোন সময় আর্থিক সহযোগিতা বুদ্ধি পরামর্শ সার্বিক সহযোগিতা দিয়ে মানুষকে স্বাবলম্বী হতে শিখিয়েছেন। শিবগঞ্জ উপজেলায় এই প্রথম একজন সরকারি কর্মকর্তাকে উদ্যোক্তা হিসেবে কাছে পেয়ে অনেক অসহায়, প্রতিবন্ধি, অস্বচ্ছল পরিবারে আনন্দের, সুখের হাঁসি ফুটেছে। অভাব অনটন দুর হয়ে গেছে ওই সব পরিবার থেকে উদ্যোক্তা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ আবুল হায়াতের সহযোগিতায়। শিবগঞ্জ উপজেলায় উদ্যোক্তা ইসমাইল হোসেন শামীম খাঁন, উদ্যোক্তা আতিকুর রহমান মিলন, বিশিষ্ট সাংবাদিক ও উদ্যোক্তা আহসান হাবীব, মোঃ সাইফুর রহমান ইমন এর মত উদ্যোক্তাদের ফল চাষে সফলতা আসে। তেমনি অসহায়, মেহনতি, প্রতিবন্ধী অস্বচ্ছল পরিবারের দুঃখ কষ্টের ভাগিদার হয়ে আর্থিক সহযোগিতা করে ওই সব পরিবারগুলোতে স্বচ্ছলতা ফিরে আসার পিছনে সফল উদ্যোক্তার চালকের আসন দখল করে নিয়েছেন তিনি। এছাড়াও ইউএনও আবুল হায়াত শিবগঞ্জ উপজেলার মৃতপ্রায় ক্রীড়াঙ্গনকে উজ্জীবিত করে সুবাতাস প্রবাহিত করে তুলেছেন খেলার মাঠে মাঠে। বিমুখ হয়ে থাকা উঠতি বয়সের ছেলেরা খেলার মাঠে ফিরে এসেছে। কমতে শুরু করেছে মাদক আর মোবাইল ফোনে আসক্ত হওয়া উঠতি বয়সীদের আড্ডা মারা। উপজেলার ক্রীড়াঙ্গন রোল মডেলে পরিণত করেছেন। আর সংস্কৃতির কথা বাদ দিলে পুরো কৃপণতা করা হবে। তিনি যেমন একজন শ্রোতা, একজন উপস্থাপক, একজন গায়ক তেমনি একজন দক্ষ আয়োজকও বটে। তিনার দক্ষ প্রশাসনিক কর্মকান্ডে আইন শৃঙ্খলা আজ উন্নতির দিকে। মানুষ মানুষের জন্য, জীবন জীবনের জন্য- এমনি চিরন্তন কথাগুলোর যথার্থতা ফিরিয়ে আনতে এবং সমাজের প্রতিটি মানুষ ভাল থাকলে, তাঁদের মুখে হাঁসি ফুটলে সমাজের সকল ব্যাধি দুর হবে, অন্যায় অত্যাচার, নিপিড়ন কমে আসবে। ফলে একটি সুস্থ সমাজের আঙ্গিনায় প্রতিটি মানুষ স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলুক এমন প্রত্যাশা যেন চোখে মুখে মহান উদ্যোক্তার। শিবগঞ্জ উপজেলার প্রতি ইঞ্চি মাটি হোক মাদকমুক্ত, প্রতিটি মানুষের মুখে হাসি ফুটুক প্রতিটি মুহূর্ত এমন ভাবনায় সময় পার করেন উদ্যোক্তা ইউএনও মোঃ আবুল হায়াত।